সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে লাগা আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হলেও, এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিনির্বাপণে কাজ করে যাচ্ছেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
এদিকে, সোমবার (৬ জুন) সকালে ডিপোর কন্টেইনারের ভেতর থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৫০ জনে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, “জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে, একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কর্মীরা।”
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা থেকে আনা হয়েছে হাজমত টেন্ডার (গাড়ি)। যা দিয়ে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন বলেন, “কনটেইনারগুলো সরানোর জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট আনছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ছয়টি টিম রেডি করেছি। ৮ থেকে ১০ টি কনটেইনারে এখনও আগুন আছে। আলাদা করে আগুন নেভানো হবে।কেমিকেল-এর আগুন নেভাতে দুটি হাজমত টেন্ডারসহ (গাড়ি) ২০ জনের টিম এসেছে ঢাকা থেকে।”
সোমবার, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিপোর ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছিল।
মনির হোসেন বলেন, “বিভিন্ন কন্টেইনারে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। কোন কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে, তা বলতে না পারায়, আমাদের সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, সেনাবাহিনীসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, “কনটেইনার ডিপোটিতে, বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড’ নামে রাসায়নিক ছিল। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ; উচ্চতাপে এটি বিস্ফোরকের মত আচরণ করে।”
এদিকে, বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডিপোর মালিক পক্ষ। ৫ জুন রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “মালিকপক্ষ নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে। গুরুতর আহত বা অঙ্গহানির শিকার প্রত্যেকেকে ছয় লাখ টাকা করে এবং বাকি আহতদের চার লাখ টাকা করে দেবে।” বিএম ডিপোর জিএম মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।