মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তার কনজারভেটিভ পার্টিকে “আমাদের সমস্যাগুলোতে একটি লাইন টানতে হবে।“ তার নেতৃত্বের ভবিষ্যত নিয়ে কয়েক মাস ধরে জল্পনা-কল্পনার পর সোমবার সন্ধ্যায় নিজ দলের সংসদ সদস্যদের আনা অনাস্থা ভোটে টিকে যাওয়ার পর তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে মন্ত্রীরা তাদের সমর্থন প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন যে, শাসন করার জন্য তিনি একটি “নতুন ম্যান্ডেট” পেয়েছেন।
সোমবার রাতের ব্যালটে ২১১ জন সাংসদ জনসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, ১৪৮ জনের মতো সাংসদ তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। অর্থাৎ তার নিজের দলের এমপিদের ৪০ শতাংশেরও বেশি তাকে দলীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল।
ফলাফলটির একটি ইতিবাচক ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি এটি একটি অত্যন্ত ভালো, ইতিবাচক, চূড়ান্ত, সিদ্ধান্তমূলক ফলাফল যা আমাদের এগিয়ে যেতে, ঐক্যবদ্ধ হতে এবং ফলাফলের ওপর জোর দিতে সক্ষম করে।“
তবে কিংস কলেজ লন্ডনের ইউরোপীয় রাজনীতির অধ্যাপক আনন্দ মেননের মতে, ভোটে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে আহত হয়েছেন।
বরিস জনসনের “ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার” প্রতিশ্রুতির দিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি ৮০টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করে। এর কয়েক সপ্তাহ পরে ইউরোপে করোনা ভাইরাস আঘাত হানার সময় ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যায়।