ইউক্রেনে লাখ লাখ টন শস্য আটকে আছে কারণ রাশিয়া দেশটির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে গমের দাম বাড়ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বুধবার আঙ্কারায় তার তুর্কি সমকক্ষ মেভলুত চাভুসোগলুর সাথে দেখা করেছেন যাতে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি বিশ্ব বাজারে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য শিপিং করিডোর তৈরির বিষয়ে আলোচনা করা যায়। কিন্তু উভয় পক্ষই বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট এড়াতে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
লাভরভের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে, চাভুসোগলু বলেছেন যে ইউক্রেনীয় জাহাজগুলিকে বিশ্ব বাজারে গম পরিবহনের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি নিরাপদ শিপিং করিডোর তৈরি করতে তুরস্ক জাতিসংঘের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
চাভুসোগলু বলেন, তুরস্ক এটাকে একটি যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা হিসেবে দেখে। তবে,তিনি বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়কেই জাতিসংঘের অনুরোধ মেনে নিতে হবে। চাভুসোগলু বলেছেন যে তুরস্ক বিস্তারিত আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে একটি বৈঠকের আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছে।
তুর্কি ও রুশ কর্মকর্তারা উভয় দেশের নৌবাহিনীকে ইউক্রেনীয় পণ্যবাহী জাহাজের জন্য পথ তৈরি করার পরিকল্পনার কথা বলছেন। কিন্তু একটি মূল সমস্যা হল ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরের সুরক্ষার জন্য যে মাইন পাতা আছে তা অপসারণ করা । লাভরভ তার দায়িত্ব কিয়েভের উপর চাপিয়ে দেন।
ল্যাভরভ বলেন যে এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য, রাশিয়ার দৃষ্টিতে, ইউক্রেনীয়দের জন্য কেবলমাত্র তাদের বন্দরগুলি থেকে জাহাজগুলিকে বের করতে দেওয়া দরকার, হয় সেগুলোর মাইন নিষ্ক্রিয় করে বা নিরাপদ করিডোর চিহ্নিত করে। রাশিয়ার এই শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, আর কিছুই প্রয়োজন নেই।
কিন্তু মাইন অপসারণের আগে, কিয়েভ এই নিশ্চয়তা চাইছে যে রাশিয়া বাহিনী স্থল ও জল, উভয় দিক থেকে ওডেসাতে আক্রমণ চালাবে না।
ল্যাভরভ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে রাশিয়া আক্রমণ করবে না, কিন্তু ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্রো কুলেবা প্রস্তাবটিকে "খালি কথা" বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেন সংঘাতের সঙ্গে খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার, ইউক্রেনীয় শস্য বিশ্ব বাজারে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি করা হলে রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য মস্কোর আহ্বানকে সমর্থন করেছিলেন চাভুসোগলু ।
কিন্তু ফিলাডেলফিয়া ভিত্তিক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অ্যারন স্টেইন বলেছেন,এতে ওয়াশিংটনের রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম।