নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে বৃহস্পতিবার মালির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে মালিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দেশটির সামরিক নেতাদের উপর চাপ আরও বৃদ্ধি পেল।
পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশের সামরিক নেতৃবৃন্দ দেশটির সরকারকে উৎখাত করার পর, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
অন্তর্বর্তীকালীন এই সময় দীর্ঘায়িত হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র ও মালির সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক দেশ ফ্রান্স সহ অন্যান্য সহযোগীদের সাথে সম্পর্কে ফাটল ধরে দেশটির।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেন, “মালির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমরা অনুরোধ জানাই যাতে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে টেকসই, বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা এবং দ্রুত নির্বাচন আইন প্রণয়ন ।”
সোমবার, মালির সামরিক জান্তার এক মুখপাত্র বলেন যে, ২০২০ সালের অগাস্টের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেসামরিক শাসনব্যবস্থায় ফিরে যেতে, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে ২৪ মাস সময়ের প্রয়োজন।
মালির অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ এবং আঞ্চলিক প্রধানগণ, প্রস্তাবিত পাঁচ বছরের নির্বাচন রূপরেখা নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছেন। রূপরেখাটি পরবর্তীতে সংশোধন করে দুই বছরে নামিয়ে আনা হয়। এর আগে এতটা বিলম্বকে অতি দীর্ঘ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল ইকোওয়াস।
পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াস মঙ্গলবার বলে যে, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন, মালির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক বেসামরিক শাসনব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সময়সীমাকে ২৪ মাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে তারা দুঃখপ্রকাশ করছে।