হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শুক্রবার বলেছে, আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালিবান বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর সাথে তথাকথিত যোগাযোগের অভিযোগে উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির প্রদেশের বাসিন্দাদের অবৈধভাবে আটক ও নির্যাতন করেছে ।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গ্লোবাল রাইটস মনিটরিং গ্রুপ বলেছে যে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনএফআর) এর যোদ্ধারা তালেবান (সেনাদল) ইউনিট এবং তল্লাশি চৌকিগুলিতে আক্রমণ করতেশুরু করে তখন মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পাঞ্জশিরে লড়াই আরও বেড়ে গিয়েছে। সহিংসতার কারণে তালিবান হাজার হাজার যোদ্ধাকেঐ প্রদেশে মোতায়েন করতে এবং অনুসন্ধানমূলকঅভিযান পরিচালনা করার প্রয়োজন বোধ করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ারএসোসিয়েটপরিচালক প্যাট্রিসিয়া গোসমা বলেন, “পাঞ্জশির প্রদেশে তালিবান বাহিনী বিরোধী দল ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দ্রুত বেসামরিক নাগরিকদের মারধর করেছে।”
ঐতিহ্যগত ভাবে এনআরএফ-এর শক্ত ঘাঁটি পাঞ্জশির আফগান প্রদেশগুলির মধ্যে পশতুন (অধ্যুষিত)এলাকা নয়। পশতুন-ভিত্তিক ইসলামপন্থী তালিবান কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লড়াই করছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে সাবেক বন্দীদের উদ্ধৃত করে অভিযোগ করা হয়েছে যে তালেবান বাহিনী পাঞ্জশিরের খেঞ্জ জেলার প্রায় ৮০ জন বাসিন্দাকে আটক করেছে এবং এনআরএফ সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য করার জন্য তাদের মারধর করেছে। এর মাঝে সন্দেহভাজন ১০জনকে এখনও এই অভিযোগে আটক করা হয়েছে যে তাদের আত্মীয়রা এনআরএফের সদস্য।
সাবেক বন্দিদের উদ্ধৃত করে বলা হয় জেলা কারাগারে এনআরএফের সাথে যোগাযোগের অভিযোগে আরও প্রায় ১০০জনকে আটক রাখা হয়েছে এবং তাদের পরিবার বা আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগের অনুমতি ছিল না।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জোর দিয়ে বলেছে যে বন্দীদের আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ এবং আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাত নিষিদ্ধ করার ফলে অত্যাচারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে অন্যের কথিত কর্মের জন্য ব্যক্তিদের শাস্তিদেয়া যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন করে এবং তা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
তালিবান কর্তৃপক্ষ বরাবরিপাঞ্জশিরেলড়াই ও নিপীড়নের অভিযোগকে মিডিয়ার ভিত্তিহীন অপপ্রচার বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে তাদের ক্ষমতায় ফিরে আসায় দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে এবং আফগানিস্তানে বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটেছে।