ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসুলা ভন ডার লেয়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে এক বৈঠকের জন্য শনিবার কিয়েভে অবস্থান করছেন। তিনি জানান বৈঠকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদ লাভে অগ্রগতির বিষয়ে আলাপ হবে ।
এক টুইটার পোস্টে লেয়েন লেখেন, “পুনর্গঠনের জন্য যৌথ কাজের এবং ইউরোপীয় [ইউনিয়নের] পথে ইউক্রেনের অগ্রগতি বিষয়ে খোঁজখবর নেব আমি।”
সিঙ্গাপুরে শাঙগ্রি-লা এশিয়া সংলাপে নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তব্যে জেলেন্সকি বলেন, সংঘাতের কারণে খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে ইউক্রেন হিমশিম খাচ্ছে এবং রাশিয়ার অবরোধের কারণে বিশ্বের কিছু কিছু স্থান “এক চরম ও গুরুতর খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের” সম্মুখীন হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোর দিয়ে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণের আশু ঝুঁকি বিষয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু জেলেন্সকি “তা শুনতে চাননি।”
তিনি আরও বলেন “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ ধরণের কোন কিছু ঘটেনি। আমি জানি অনেকেই ভেবেছিল যে আমি হয়ত অতিরঞ্জিত করে বলছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম আমাদের কাছে তথ্য আছে যে তিনি – অর্থাৎ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন – সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়বেন।”
যদিও যুদ্ধের সময়ে জেলেন্সকি নিজের নেতৃত্বের মাধ্যমে মানুষজনকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তবুও আক্রমণের জন্য তার প্রস্তুতি – বা সেটার অভাব – একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে রয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার আগের সপ্তাহগুলোতে, জেলেন্সকি প্রকাশ্যেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন যখন কিনা বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করছিলেন যে, রাশিয়ার আক্রমণের এক সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সেই সময়ে জেলেন্সকি এই বিষয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, যুদ্ধের দামামা ইউক্রেনের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
বর্তমানে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ক্রমেই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন যে, তার মিত্ররা “যুদ্ধ অবসাদ” এ ভুগতে থাকলে পশ্চিমাদের থেকে সমর্থন কমে যেতে থাকবে।