ভেনিজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরো এবং ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট শনিবার ২০ বছর মেয়াদী এক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর এক দিন আগেই মাদুরো এই ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রশংসা করেন কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান তার দেশের জন্য অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানী তেল পাঠিয়েছে।
শুক্রবার দিনের শেষদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায় যে, দুইদিনব্যাপী এক সফরে ইরান এসে পৌঁছানোর পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, জ্বালানির চাহিদায় থাকা তার দেশে তেলবাহী জাহাজ পাঠানোর জন্য ইরানের পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন মাদুরো।
তিনি বলেন, “কারাকাসে তেহরানের তেল সরবরাহ ভেনিজুয়েলার মানুষের জন্য এক বিরাট সহায়তা ছিল।”
এটিই মাদুরোর প্রথম ইরান সফর। সফরটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন, বিশ্বশক্তিগুলোর সাথে ইরানের পরমাণু বিষয়ক চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্য ইরানের রুগ্ন অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলেছে। এর ফলে সরকার ও দেশের মানুষজনও অধিক চাপের মধ্যে পড়েছে।
মাদুরোর সফরে তার সফরসঙ্গী হিসেবে ভেনিজুয়েলার উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক্ এক প্রতিনিধিদলও রয়েছে। ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিস রাইসির আমন্ত্রণে এই সফর করছেন মাদুরো। ইরানের মত ভেনিজুয়েলাও যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
শনিবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রাইসি এবং মাদুরো ২০ বছর মেয়াদী এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প, সামরিক বাহিনী এবং অর্থনীতি বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশে চুক্তিটি করা হয়।
শুক্রবার শেষ হওয়া সামিট অফ দ্য আমেরিকাস-এ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদুরোকে আমন্ত্রণ না জানানোর পর, বর্তমানে মাদুরো ইউরেশিয়া সফরে রয়েছেন। এই সপ্তাহে এর আগে তিনি আলজেরিয়া ও তুরস্ক সফর করেন।
ভেনিজুয়েলার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে, রাশিয়া ও ইরান বাদে তুরস্ক হাতে গোনা কয়েকটি দেশের একটি যেখানে মাদুরো এখনও আমন্ত্রিত।