বুধবার রাশিয়া বলেছে, তারা আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষকে বৈধতা দেয়ার কথা বিবেচনা করছে না তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটির মানবিক সংকটের কারণে অনেক দেশ কাবুলের নতুন শাসকদের সাথে “যোগাযোগ শুরু ”করেছে।
বিদ্রোহী থেকে ইসলামি গোষ্ঠীতে পরিণত তালিবান গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করে এবং দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে প্রায় ২০ বছরের যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক হস্তক্ষেপের অবসানের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন স্থাপন করে।
তালিবান সকল আফগানের অধিকারকে সম্মান করার এবং আল-কায়েদাসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আন্তর্জাতিক আক্রমণের জন্য আফগানিস্তানকে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে- এমন উদ্বেগ থেকে কোনো দেশ এখনো তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
শুধুমাত্র পুরুষদের নিয়ে গঠিত তালিবান মন্ত্রীসভা আফগান জাতিগত ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব না করার জন্য সমালোচিত হচ্ছে।
তালিবান তাদের সরকারের সমালোচনা প্রত্যাখান করেছে।
ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি গত বছরের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে বেশিরভাগ স্কুলের কিশোরী ছাত্রীকে পুনরায় ক্লাস শুরু করার অনুমতি দেয়নি।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেটো নেতৃত্বাধীন অংশীদাররা প্রস্থান করার পরেও চীন, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্কসহ অনেক দেশ কাবুলে তাদের দূতাবাস খোলা রেখেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি তালিবান-নিযুক্ত আফগান চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্সকে মস্কোতে আফগান দূতাবাস চালানোর অনুমতি দেয়ার জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিকে কাবুলের সাথে “পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করার দিকে একটি পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছে।