অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুদ্ধ, নিপীড়নের কারণে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুতঃ জাতিসংঘ


ইথিওপিয়ার সেমেরার আফার অঞ্চলে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া একটি মেয়ে বসে আছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। ফাইল ছবি।
ইথিওপিয়ার সেমেরার আফার অঞ্চলে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া একটি মেয়ে বসে আছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। ফাইল ছবি।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বার্ষিক গ্লোবাল ট্রেন্ডস প্রতিবেদন অনুসারে,২০২১ সালের শেষ নাগাদ রেকর্ড সংখ্যক ৮ কোটি ৯৩ লক্ষ মানুষ যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে তাদের আবাসস্থল থেকে বিতাড়িত হয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে পালাতে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা এতে যোগ করার পরে এ সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে।

সংকটপূর্ণ অবস্থার কারণে গত এক দশক ধরে প্রতি বছর বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ইউএনএইচসিআর বলেছে, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দ্রুততম এবং বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, গত বছর শরণার্থীর সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লক্ষ মানুষ।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান এবং মিয়ানমার- বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুতদের দুই-তৃতীয়াংশ এই ৫টি দেশের অধিবাসী। এতে বলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। এ তালিকায় তারপরে রয়েছে কলম্বিয়া, উগান্ডা, পাকিস্তান এবং জার্মানির নাম। যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের শীর্ষ শরণার্থী পুনর্বাসনকারী দেশ।

XS
SM
MD
LG