আফগানিস্তানের জন্য জাতিসংঘের দূত বৃহস্পতিবার তার বিদায়ী বার্তায় ইসলামপন্থী তালিবানের " উগ্রবাদী নীতি”তে নারীর অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বকে খর্ব করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) প্রধান ডেবোরা লিয়ন্স বলেছেন, "যখন আমি এই চাকরিটি গ্রহণ করেছিলাম, আমি কল্পনাও করতে পারিনি, আমার বিদায়ের আগে আমি এমন আফগানিস্তান দেখে যাব।"
বিদায়ী (ইউএনএএমএ) প্রধান দুই বছর আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এসেছিলেন, তার কার্যকালের শুরুর দিকে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকার দেশটি চালাচ্ছিল এবং মারাত্মক তালিবান বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছিল।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,“বিশেষ করে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যায় লক্ষাধিক আফগান মেয়ের জন্য যারা তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং অনেক প্রতিভাময়ী আফগান নারীদের জন্য যাদের ঘরে থাকতে হচ্ছে। অথচ সমাজ পুনর্গঠনের জন্য তারা সেই প্রতিভাগুলিকে কাজে লাগাতে পারতো। সেখানে এখন দ্বন্দ্ব যদিও এখন অনেক কম মনে হয়, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয় আগের মতোই রয়ে গেছে”।
তালিবান গত আগস্টে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ দখল করে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশী সামরিক হস্তক্ষেপের প্রায় ২০ বছরের অবসানের পর সম্পূর্ণ ভাবে পুরুষ শাসিত একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন স্থাপন করে।
ইসলামপন্থী দলটি বেশিরভাগ কিশোরী মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা স্থগিত করেছে এবং কিছু সরকারি দপ্তরের নারী কর্মীদের তাদের দায়িত্বে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
ইসলামের তালিবানি সংস্করণের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস অ্যান্ড ভার্চ্যু মন্ত্রক, নারীদের সর্বসম্মুখে তাদের মুখ সহ সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে, এবং তাদের দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দিয়েছে যে তারা উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তাদের বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। একজন পুরুষ আত্মীয় সাথে না থাকলে তাদের ৭০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ নিষিদ্ধ।