অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কুড়িগ্রামে অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দী, খাদ্য ও সুপেয় জলের সংকট


কুড়িগ্রামে অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দী, খাদ্য ও সুপেয় জলের সংকট
কুড়িগ্রামে অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দী, খাদ্য ও সুপেয় জলের সংকট

উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে, নদ-নদীর পানির বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। খাদ্য ও সুপেয় জলের সংকটে ভুগছেন বন্যার্ত মানুষ।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, “শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৬টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপরে এবং চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানিও অনেক জায়গায় বেড়েছে।”

উন্নয়ন বোর্ড আরও জানিয়েছে, “কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, ফুলবাড়ী, নাগেরশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলার নিচু এলাকা ও চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বন্যায় প্রায় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। জেলার ৩০টি পয়েন্টে নদীভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বহু ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানয়েছে, “বন্যায় ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে এবং ১৫০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।”

এদিকে, জেলার ৯টি উপজেলার অনেক সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বসতবাড়িতে ঢুকে পড়ায় অনেকেই রাস্তা ও বাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে বন্যা কবলিত এলাকার হাজারো মানুষ খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন।

XS
SM
MD
LG