ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে কানাডার দুই অপহৃত পর্যটক ও জার্মানীর এক নাগরিকের শিরশ্ছেদের দায়ে অভিযুক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত, আবু সায়াফ জঙ্গীদলের দুই নেতা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে, কর্মকর্তারা শুক্রবার জানান।
আলমুজের ইয়াদাহ এবং বেনসিতো কুইটিনো দক্ষিণাঞ্চলের সুলু প্রদেশের জোলো শহরের সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে নিজেদের অ্যাসল্ট রাইফেলসহ আত্মসমর্পণ করেন বলে, সুলু সামরিক কমান্ডার মেজর জেনারেল ইগনেশিয়াস পাতরিমোনিও ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান। তবে, কখন ও কিভাবে আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা করা হয় সে বিষয়ে ঐ কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সুলু’র প্রাদেশিক পুলিশের প্রধান কর্ণেল জেইমি মোহিকা বলেন যে, আটক ব্যক্তিরা একাধিক খুন ও অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগের সম্মুখীন হবেন। এর মধ্যে দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে। দাবিকৃত বড় অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করতে না পারায় তারা অপহৃত ব্যক্তিদের শিরশ্ছেদ করে বলে, আটককৃত জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মোহিকা বলেন যে, তারা মুক্তিপণের দাবিতে আরও অপহরণ ও বোমাহামলার ঘটনায়ও জড়িত ছিল।
কানাডার পর্যটক রবার্ট হল এবং জন রিডসডেল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণাঞ্চলের সামাল দ্বীপের এক মেরিনায় আবু সায়াফ এর বন্দুকধারীদের হাতে অপহরণের শিকার হন। একই সাথে নরওয়ের এক নাগরিক এবং ফিলিপাইনের এক নাগরিকও অপহৃত হন। তাদেরকে ধরে সুলুর জঙ্গলে অবস্থিত শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অপহরণের কয়েক মাস পর মুক্তিপণের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলে, জঙ্গীরা হল ও রিডসডেল এর শিরশ্ছেদ করে। জঙ্গীদের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় যে, ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পতাকার মত এক কালো পতাকার সামনে তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। নরওয়ে ও ফিলিপাইনের ঐ নাগরিকদের পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।