অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সেনেগালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে


সেনেগালের রাজধানী ডাকারে বিক্ষোভকারিরা আগুনের উপর একটি ডাস্টবিন নিক্ষেপ করছে। শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২। (অ্যানিকা হ্যামারশল্যাগ/ভিওএ)
সেনেগালের রাজধানী ডাকারে বিক্ষোভকারিরা আগুনের উপর একটি ডাস্টবিন নিক্ষেপ করছে। শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২। (অ্যানিকা হ্যামারশল্যাগ/ভিওএ)

আইনসভার নির্ধারিত নির্বাচনে বিরোধীদের নাম ব্যালট পেপারে না রাখার সরকারী সিদ্ধান্তে, শুক্রবার সেনেগালে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির বিরোধী নেতা উসমানে সোনকোকে সমর্থন জানাতে এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সালকে বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

বিক্ষোভকারীরা টায়ার এবং প্লাস্টিকের পাত্রে আগুন জ্বালিয়ে দিলে, শুক্রবার ডাকারের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা জুড়ে ধোঁয়ার আস্তরণ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে, বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তারা পুনরায় একত্রিত হয়ে স্লোগান দেয়: "ম্যাকি সাল একজন স্বৈরশাসক!" এবং পুলিশ অফিসারদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারে।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন স্নাতক ছাত্রী ময়মিনা আইদারা।

তিনি বলেন, “ম্যাকি সাল সেনেগালের সাথে যা করছে তা একটি অবিচার। তিনি যা করার চেষ্টা করছেন তা ঠিক না। আমরা, সেনেগালের লোকেরা এতে কষ্ট পাচ্ছি। আমরা সত্যিই খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমরা ম্যাকি সালের পদত্যাগ চাই। ইনশাআল্লাহ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনই আন্দোলন চলবে। এবং ম্যাকি সাল পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।”

সেনেগালের সাংবিধানিক কাউন্সিল আগামী ৩১ জুলাইয়ের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পর থেকে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সরকার, বিরোধী নেতা সোনকোসহ অন্যান্য বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দিয়েছে।

শুক্রবার, পুলিশকে সোনকোর বাড়ির চারপাশ ঘেরাও করে রাখতে দেখা গেছে। এছাড়া পুলিশ তাকে জুমার নামাজে শরিক হতে এবং বিক্ষোভে শামিল হতেও বাধা দিয়েছে।

২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা সোনকো, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও- প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন।

গত বছর ধর্ষণের অভিযোগে সোনকোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে দাঙ্গা বেঁধে যায় এবং এক সপ্তাহের ওই দাঙ্গায় ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

শুক্রবারের বিক্ষোভে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’র মতে, তিনজন বিরোধী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলি একের পর এক অভ্যুত্থানের শিকার হয়েছে এবং সেনেগালের এই অস্থিতিশীলতা সমগ্র অঞ্চলের জন্য নতুন করে প্রভাব ফেলতে পারে।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ জুনের একটি বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হলেও, পরবর্তীতে আবার অনুমতি দেওয়া হয়।

অনুমোদন নিয়ে কিংবা অনুমোদন ছাড়াই সপ্তাহান্তে নতুন করে আরও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG