“আমরা দক্ষিণাঞ্চল কাউকে দিব না, আমরা আমাদের সবকিছু ফিরিয়ে আনব”, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি প্রতিবাদী কন্ঠে রবিবার শুরুর দিকে এই কথাগুলো বলেন। এর আগে শনিবার তিনি মিকোলায়েভ ও ওডেসা সফর করেন, যেখানে রুশ বাহিনী এলাকাটিকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
জেলেন্সকি বলেন যে, দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষতির পরিমাণ “উল্লেখযোগ্য”। সেখানে অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, বেসামরিক মানুষজনের অবকাঠামো ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে এবং আরও কয়েকটি সামাজিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি অনড়ভাবে বলেন, সবকিছু আগের মত করা হবে।
তিনি বলেন, “রাশিয়ার এত ক্ষেপণাস্ত্র নেই, যতটা আমাদের মানুষদের বেঁচে থাকার ইচ্ছা রয়েছে।”
এদিকে নেটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেন যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এক দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল যুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে। জার্মানীর পত্রিকা বিল্ড অ্যাম সোনটাগ-কে তিনি বলেন, “আমাদের এই বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত হতে হবে যে, এতে অনেক বছর লাগতে পারে। ইউক্রেনকে সমর্থন করা আমাদের বন্ধ করা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “যদিও এর ব্যয় অনেক বেশি, শুধুমাত্র সামরিক সহায়তার জন্যই না, বরং জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণেও।”
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও সতর্ক করে বলেন যে, ইউক্রেনে যুদ্ধ অনেকদিন ধরে চলতে পারে এবং ইউক্রেনের “আক্রমণকারীদের থেকে দ্রুতগতিতে অস্ত্র, সরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।”
একই সময়ে, জার্মানীর চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, জার্মানীর ডিপিএ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, “যতদিন দরকার, ততদিন পর্যন্ত” জি-সেভেন নেতৃস্থানীয় গণতন্ত্রগুলো থেকে সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে ইউক্রেন আশাবাদী থাকতে পারে।