পশ্চিম ইউরোপের দেশ স্পেন এবং জার্মানির দমকলকর্মীরা বছরের এই সময়ে একটি অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের মধ্যে রবিবার দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছিল।
স্পেনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামোরা প্রদেশে, যেখানে ২৫,০০০ হেক্টর (৬১,০০০ একর) -এর বেশি জমি আগুন গ্রাস করেছে। অন্যদিকে, জার্মানীর আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বার্লিনের কাছাকাছি তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবানল এড়াতে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন।
স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন দিনের প্রচণ্ড তাপমাত্রার সাথে তীব্র বাতাস এবং আর্দ্রতা কিছুটা কমে এলে, রবিবার সকালে তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে কিছুটা প্রশান্তি মিলেছে। তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এখনও বিপদ রয়েছে। কারণ আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবর্তন দাবানলকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে, যা ইতোমধ্যে ১৮টি গ্রামের সব লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছিল।
স্পেন তীব্র দাবানলের প্রাদুর্ভাবের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করেছে। কারণ দেশটি জুন মাসে দেশের অনেক এলাকায় রেকর্ড তাপমাত্রার সম্মুখীন। বিশেষজ্ঞরা ইউরোপের অস্বাভাবিক এই গরমের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তাপমাত্রা পুরো সপ্তাহ জুড়ে স্প্যানিশ শহরগুলিতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর উপরে উঠেছে — এই তাপমাত্রা সাধারণত আগস্টে প্রত্যাশিত।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি ঘণ্টায় ৭০ কিমি (৪৩ মাইল) বেগে দমকা হাওয়া যা নিয়ত গতিপথ পরিবর্তন করে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রার সাথে মিলিত হয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। ফলে এটি ক্রুদের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, জার্মানিতে, শক্তিশালী বাতাসে বার্লিনের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে, কর্মকর্তারা শনিবার সেখানে জরুরি অবস্থা জারী করতে বাধ্য হয়েছে।
ফ্রনসডর্ফ, টাইফেনব্রুনেন এবং ক্লাউসডর্ফ-এর গ্রামবাসীদের অবিলম্বে নিকটবর্তী শহর ট্রুয়েনব্রিয়েটজেন-এর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।