বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায়, খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা দুর্গতদের সার্বিক পুনর্বাসনের আশ্বাসও দেন।
একই সঙ্গে, দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও বন্যার আশঙ্কা থাকায়, যেকোনো সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেট সার্কিট হাউসে জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়, শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “সমগ্র সিলেট অঞ্চলের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথভাবে কাজ চলছে।”
চলমান বন্যাকে নতুন কিছু নয় উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণকে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই জীবনযাপন করতে হচ্ছে।”
জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বড় বন্যার কথা উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে প্রতি দশ বা বারো বছরে ব্যাপক বন্যা হয়।”
দেশের মধ্যাঞ্চলে এবং পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
