চারটি অর্থনৈতিক শক্তি সম্পন্ন রাষ্ট্রকে অগ্রসর হতে সহায়তা করতে এই সপ্তাহে অঙ্গীকার করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যদিও, চীন নিজ দেশেই মহামারীর সমস্যার সম্মুখীন এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবের শিকার। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সময় লাগবে এবং এর কোন আশু ফলাফল দেখতে পাওয়া যাবে না।
চীনের আয়োজিত এ বছরের ভার্চুয়াল ব্রিকস সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন শি।
অন্যান্য দেশগুলো হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। চীন সহ বাকি ঐ চার দেশের দলটি ব্রিকস (বিআরআইসিএস) হিসেবে পরিচিত। এই বড় আকারের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো নিজেদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার এক বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করে।
চীনের নেতা আন্তঃসীমান্ত আর্থিক লেনদেন ও ক্রেডিট রেটিং এর ক্ষেত্রে ব্রিকস-এ অভ্যন্তরীণ সহযোগিতার পরামর্শ দেন বলে, চীনের সরকারি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থা বৃহস্পতিবার জানায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থায়ন “সহজতর” করার সুপারিশও করেন শি জিনপিং।
শিনহুয়া আরও জানায় যে, এই গোষ্ঠীটির ১৪তম সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে শি বলেন, “আরও শক্তিশালী, পরিবেশ বান্ধব ও সুস্বাস্থ্যকর” বৈশ্বিক উন্নয়ন সমর্থন করতে তিনি ব্রিকস দেশগুলোর সাথে কাজ করবেন।
ঐ নেতা আরও দেশকে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দিতে অনুরোধ জানান। ২০১৫ সালে ব্রিকস দেশগুলোর প্রতিষ্ঠিত ছাড়কৃত শর্তে ঋণদাতা এক প্রতিষ্ঠান হল ঐ ব্যাংক। এছাড়াও তিনি লেনদেনের ভারসাম্য সংক্রান্ত দলটির জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থাটি উন্নত করারও আহ্বান জানান। ব্যবস্থাটি কন্টিনজেন্ট রিজার্ভ অ্যারেঞ্জমেন্ট নামে পরিচিত। শিনহুয়া এসব তথ্য জানিয়েছে।
তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন যে, এমন লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে বেশ সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ হল যে, সদস্য দেশগুলো সবসময় একে অপরের সাথে একমত হতে পারে না। এছাড়াও, চীনের এমন আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা লাভ করতে বেশ সময় লাগতে পারে কারণ তাদের দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।