অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রত্যক্ষদর্শীরা ইথিওপিয়ায় জাতিগত আক্রমণকে “রক্তের বন্যা” বলে বর্ণনা করেছেন


চলতি মাসে ইথিওপিয়ায় জাতিগোষ্ঠীগত সহিংসতায় একটি গ্রাম ও এর আশেপাশে শত শত লোককে হত্যা করা হয়েছে।
চলতি মাসে ইথিওপিয়ায় জাতিগোষ্ঠীগত সহিংসতায় একটি গ্রাম ও এর আশেপাশে শত শত লোককে হত্যা করা হয়েছে।

ভারী অস্ত্রধারীরা ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলের ছোট কৃষি গ্রামের আশে-পাশে হাজির হয়েছে, আর তাই সরকারী সৈন্য এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পরে ইতোমধ্যেই আতঙ্কিত থাকা বাসিন্দাদের আরও ভয়ের কারণ হয়েছে।

বাসিন্দা নুর হুসেন আবদি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, “জঙ্গিরা আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে তারা আমাদের স্পর্শ করবে না। তারা বলেছে যে তারা আমাদের পিছনে নেই। কিন্তু বাস্তবে, তারা একটি মারাত্মক গণহত্যার জন্য আমাদের পুরো গ্রামকে ঘিরে রেখেছিল। পরের দিন যা ঘটেছিল তা ছিল সম্পূর্ণ রক্তপাত।"

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইথিওপিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার একজন সাক্ষী আবদি, তিনি একটি ছাদে লুকিয়ে ছিলেন। আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশটিতে জাতিগোষ্ঠীগত সহিংসতার সর্বশেষ ঘটনায় জুন মাসের ১৮ তারিখ, টোলে গ্রামে এবং তার আশেপাশে শত শত লোককে জবাই করা হয়েছিল, এদের বেশিরভাগ আমহারা জাতিগোষ্ঠীর লোক।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন যে তারা এখনও মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখছেন, কিছু কিছু মৃতদেহ গণকবরে রাখা হয়েছে যেখানে আরও অনেক মরদেহ রয়েছে। আমহারা অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা জানিয়েছে যে তারা ৫০৩ জন বেসামরিক নাগরিকের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইথিওপিয়ান কর্তৃপক্ষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী, মোহাম্মদ কামাল বলেছেন, তিনি ৪৩০টি মৃতদেহ দাফন করতে দেখেছেন। অন্যগুলো এখনও উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং পচে যাচ্ছে।

XS
SM
MD
LG