১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএদের মধ্যে, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে ছিলেন; তাদের একটি তালিকা তৈরি করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কারণে, তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক শূন্য ঘোষণা করা আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তালিকাগুলো গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল ২০২২-এর প্রতিবেদনে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
গত ৫ জুন পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল অনুযায়ী, কাউন্সিলের প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল রাজাকার, আলবদর ও আল শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরি করা; যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং বিভিন্ন জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে পাকিস্তানি দখলদার সেনাদের সহযোগিতা করেছিল।
বিল অনুযায়ী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল থাকবে; যার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে। এটি সরকারের পূর্বানুমতি নিয়ে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা স্থাপন করতে পারে।
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। তবে মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে, তিনি সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হবেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভাইস চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন। উপদেষ্টা পরিষদের মহাপরিচালক মনোনীত আটজন এবং কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। কাউন্সিল প্রতি দুই মাস অন্তর একটি সভা করবে।
কাউন্সিলের অন্যতম প্রধান কাজ হবে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাসহ স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের তালিকা তৈরি করা।