চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলামও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, “পরীর পাহাড়ের ধসে পড়া স্থান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল দ্রুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। সে অনুযায়ী, পরীর পাহাড়ের ধস প্রতিরোধে এবং ধসে পড়া স্থানের ক্ষতি প্রশমনে, অতিসত্বর রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
এছাড়া, যৌথ পরিদর্শক দল, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল স্থাপনাসমূহের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোও পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শক দল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, ঝুঁকিপূর্ণ এ সকল বহুতল স্থাপনার কারণে পরীর পাহাড় এলাকায় যে কোন সময় মারাত্মক পাহাড় ধস হতে পারে। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলেও জানায় পরিদর্শক দল।
পরিদর্শক দল, জেলা জজ (নেজারত), জেলা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রধান বিচারিক হাকিম আদালতের ভবনের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশনা দেন। আর, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামে সম্ভাব্য পাহাড়ধস ও ভূমিধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে, অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাসমূহ নিজ উদ্যোগে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসন জানায়; এই পাহাড়ে রয়েছে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এছাড়া, এখানে রয়েছে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ মোট ৭৬টি আদালত। এই পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখা, সাব রেজিস্টি অফিস এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস।
১৯৭৭ সালে, তৎকালীন জেলা প্রশাসক পরীর পাহাড়ের খাস খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নামে ১২ দশমিক ৯০ শতক জমি লিজ দলিলমূলে বরাদ্দ দেন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি।