কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসাবে তিনি অদৃশ্য সব বাধা অতিক্রম করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন।
৫১ বছর বয়সী জ্যাকসন আদালতের ১১৬ তম বিচারপতি এবং তিনি বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়ারের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়ার বৃহস্পতিবার দুপুরে অবসর গ্রহণ করেন। জ্যাকসন একসময় বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়ারের জন্য কাজ করতেন।
জ্যাকসন তার পরিবারের সাথে যোগ দিয়ে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি শপথ পাঠ করেন, একটি ব্রেয়ার পরিচালনা করেন এবং অন্যটি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস পরিচালনা করেন।
আদালতের জারি করা এক বিবৃতিতে জ্যাকসন বলেছেন, "সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে সমর্থন ও রক্ষা করার এবং ভয় বা অনুগ্রহ ছাড়াই ন্যায়বিচার পরিচালনা করার পবিত্র দায়িত্ব গ্রহণ করছি, তাই ঈশ্বর আমাকে সাহায্য করুন। আমাদের মহান জাতির প্রতিশ্রুতির অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি আমার সকল নতুন সহকর্মীকে উষ্ণ ভাবে আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
রবার্টস, জ্যাকসনকে "আদালতে এবং আমাদের অভিন্ন আহ্বানে" স্বাগত জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানটি আদালতের ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
জ্যাকসন, ২০১৩ সাল থেকে একজন ফেডারেল বিচারক। অন্য তিনজন নারী, বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র, এলেনা কাগান এবং অ্যামি কোনি ব্যারেটের সাথে তিনি যোগ দিচ্ছেন। এই প্রথমবারের মত চারজন নারী, নয় সদস্যের আদালতে একসঙ্গে কাজ করবেন৷
বাইডেন জ্যাকসনকে ফেব্রুয়ারীতে মনোনীত করেছিলেন। এর এক মাস আগে ৮৩ বছর বয়সী ব্রেয়ার ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি আদালতের মেয়াদ শেষে অবসর নেবেন, ধরে নিয়েছিলেন যে তার উত্তরাধিকারী নিশ্চিত হয়েছে। ব্রেয়ারের স্বাভাবিকের চেয়ে আগের ঘোষণা এবং সেই সঙ্গে যে শর্ত তিনি আরোপ করেছিলেন তা ছিল সেনেটে অতিরিক্ত দলীয় বিভাজনের সময়ে, বিশেষ করে ফেডারেল বিচারকদের আশেপাশে সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের দুর্বল অবস্থার সময়।
সেনেট এপ্রিলের শুরুতে জ্যাকসনের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে, পক্ষে ৫৩ বিপক্ষে ৪৭ ভোটে। বেশিরভাগই পার্টি-লাইন ভোটে যার মধ্যে তিনটি রিপাবলিকান সমর্থন ছিল।