পেলে বা অন্য যেই কয়েক দশক আগে ফুটবলকে প্রথমবারের মত “চমৎকার খেলা” হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, তার সাথে জাপানের রেফারি ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা একেবারেই একমত।
কাতারে পুরুষ বিশ্বকাপে ফিফা কর্তৃক রেফারি হিসেবে নির্বাচিত তিনজন নারীর মধ্যে ইয়ামাশিতা একজন। বিশ্বকাপ ২১ নভেম্বর আরম্ভ হবে। ফুটবলের বৃহত্তম এই আসরে এবারই প্রথমবার কোন নারী রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি তার কাজকে এভাবে বর্ণনা করেছেন: খেলাটিকে আভা ছড়াতে দিন, ঠিক যেমনটি সেটির করা উচিৎ।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে সোমবার টোকিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্যগুলোর একটি হল ফুটবলের আকর্ষণ ফুটিয়ে তোলা।” তিনি আরও বলেন, “আমি সেটির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, এবং এই লক্ষ্য পূরণে সেই সময়ে আমার যা করা উচিৎ আমি তাই করব। তাই আমার যদি খেলোয়াড়দের সাথে মতবিনিময় করতে হয়, আমি তাই করব। আমার যদি একটি কার্ড প্রদর্শন করতে হয়, আমি কার্ড প্রদর্শন করব। নিয়ন্ত্রণ করার চাইতে, বরং আমি ভাবছি যে ফুটবলের আকর্ষণ ফুটিয়ে তোলার বৃহৎ উদ্দেশ্য পূরণে কি করা যায়।”
ফ্রান্সের স্টেফেনি ফ্র্যাপার্ট এবং রোয়ান্ডার সালিমা মুকাসাঙ্গা অপর দুই নারী যাদের রেফারি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে মোট ৩৬ জন রেফারি রয়েছেন। ৬৯ জন সহকারি রেফারির মধ্যেও অপর তিনজন নারী সহকারি রেফারি নির্বাচন করেছে ফিফা। তারা হলেন ব্রাজিলের নিউজা ব্যাক, মেক্সিকোর ক্যারেন ডিয়াজ মেডিনা, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন নেসবিট।
যদিও সম্ভাবনা রয়েছে যে তিনজন নারী রেফারিই কোন না কোন ম্যাচের নেতৃত্বে থাকবেন, তবুও এটি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তারা মাঠের বাইরে তথাকথিত “চতুর্থ রেফারি” হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, কোন অবস্থাতেই তাদেরকে সহকারি রেফারির দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।