অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক মিয়ানমার সফর করছেন


মিয়ানমার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, মাঝে, কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মিয়ানমারে আসিয়ানের বিশেষ দূত প্রাক সোখোন, বামে, এবং মিয়ানমার এফএম উনা মং লুইন, ডানে, একটি বৈঠকের সময় হাত মেলাচ্ছেন। ৩০ জুন, ২০২২।
মিয়ানমার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, মাঝে, কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মিয়ানমারে আসিয়ানের বিশেষ দূত প্রাক সোখোন, বামে, এবং মিয়ানমার এফএম উনা মং লুইন, ডানে, একটি বৈঠকের সময় হাত মেলাচ্ছেন। ৩০ জুন, ২০২২।

গত বছর মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর চীনের শীর্ষ কূটনীতিক শনিবার সে দেশে তার প্রথম সফরে এসেছেন। তিনি সেখানে একটি আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দেবেন। সরকার বলেছে যে চীনের শীর্ষ কূটনীতিকের এই সফর তাদের বৈধতার স্বীকৃতি। ওদিকে বিরোধীরা শান্তি প্রচেষ্টার লঙ্ঘন হিসাবে এই সফরের প্রতিবাদ করেছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমার , লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামের তার সহপক্ষদের সাথে যোগ দেবেন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বাগানের কেন্দ্রীয় শহর লাঙ্কাং-মেকং কোঅপারেশন গ্রুপের বৈঠকে।

এই জোটটি হল একটি চীনা নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ যার মধ্যে রয়েছে মেকং ডেল্টার দেশগুলি, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কারণে প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং পরিবেশগত ক্ষতির উদ্বেগ বাড়াচ্ছে যা আঞ্চলিক উত্তেজনার একটি সম্ভাব্য কারণ হয়ে রয়েছে । চীন মেকংয়ের উপরের অংশে ১০টি বাঁধ নির্মাণ করেছে, যে অংশটিকে ল্যাংকাং বলে।

সামরিক সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন শুক্রবার রাজধানী নাইপিতাওতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উপস্থিতি মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব এবং তার সরকারের স্বীকৃতির প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন, মন্ত্রীরা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিতে সই করবেন। তিনি আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ওয়াং সামরিক সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সাথে দেখা করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী, অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে। এর ফলে দ্রুত দেশব্যাপী অহিংস বিক্ষোভ হয় এবং সশস্ত্র প্রতিরোধের সূত্রপাত করে। যেটিকে এখন কিছু জাতিসংঘের কিছু বিশেষজ্ঞ গৃহযুদ্ধ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য-অংশীদার এবং পুরানো মিত্র। বেইজিং মিয়ানমারের খনি, তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং রাশিয়ার মতোই চীন ও এর প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী।

মিয়ানমারের অনেকেই চীনকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে সমর্থন করার জন্য সন্দেহ করে । এদিকে বেইজিং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে। চীন বলেছে যে তারা অন্য দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করে।

XS
SM
MD
LG