ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার একটি শহরে রবিবার একাধিক বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে বলে রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বেলগোরোড এ হওয়া বিস্ফোরণগুলোতে ডজন কয়েক আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ আইনপ্রণেতা অ্যান্ড্রেই ক্লিশাস এমন বিস্ফোরণের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে ক্লিশাস লেখেন, “বেলগোরোডে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়া ও বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হওয়া ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সরাসরি আগ্রাসন এবং এমন ঘটনা সামরিক প্রতিক্রিয়াসহ কঠোরতম প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণের বিষয়ে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা প্রথাগতভাবে খুব সামান্যই মন্তব্য করে থাকেন।
একই সময়ে, ইউক্রেনের অধিকৃত মেলিটোপোল শহরের মেয়র, ইভান ফেডোরোভ টেলিগ্রামে জানান যে, অধিকৃত এলাকায় রাশিয়ার চারটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনব্যাস অঞ্চলে শনিবার তুমুল লড়াই চলে। সেখানে অবস্থিত লিসিশ্যান্সক শহরে রুশ বাহিনী গোলাবর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। রুশ বাহিনী অঞ্চলটিকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তারা ঐ শিল্প এলাকার আরও অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ আরম্ভের পর কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়ে, রুশ বাহিনী এখন এই অঞ্চলটিকে তাদের সর্বসাম্প্রতিক আগ্রাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
রাশিয়া সমর্থিত ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে যে তারা লিসিশ্যান্সক শহরটি ঘিরে ফেলেছে।
তবে, ঐ বিবৃতির কয়েকঘন্টা পর, লিসিশ্যান্সক ঘিরে ফেলার এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। বরং তারা বলছে যে, শহরটির উপকন্ঠে তুমুল লড়াই চলছে।
গত মাসে রুশ বাহিনী লিসিশ্যান্সক এর পাশের নদীর অপরপ্রান্তের সিভিরোডনেটস্ক শহরটির দখল নেয়। ঐ শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য এই যুদ্ধের সবচেয়ে তুমুল লড়াইগুলোর কয়েকটি সংঘটিত হয়েছিল।