জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, লেবানন এখন সংকটের মধ্যে রয়েছে, লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চাহিদায় ভুগছে।
জাতিসংঘ আরও বলছে, দাম বেড়ে যাওয়ায় লেবাননের শতকরা ৯০ ভাগ পরিবার তাদের চাহিদা মত খাবার পাচ্ছে না। অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা কিনা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, অপুষ্টি ও ক্ষুধাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এক জরিপে দেখা গেছে, লেবাননের তরুণদের বেকারত্বের হার প্রায় ৫০ শতাংশ। শ্রমশক্তির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেকার। লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নাজাত রোচদি বলেন, ২.২ মিলিয়ন লেবানিজ, ৮৬,০০০ অভিবাসী এবং ২ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর জরুরি সহায়তা প্রয়োজন, যা গত বছরের তুলনায় ৪৬% বেশি।
তিনি মন্তব্য করেন ,দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার অবস্থা ভালো নয়। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প অনুযায়ী, লেবাননের মোট দেশজ উৎপাদন এ বছর আরও ৬.৫ শতাংশ কমে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নতুন করে বিধ্বংসী উচ্চতায় চলে যতে পারে।
“ইউক্রেন সংকটের কারণে লেবাননের এই আর্থ-সামাজিক মন্দা দেখা দিয়েছে। গমের মজুদ হ্রাস এবং জ্বালানী পণ্যের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে রুটির দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে যা কিনা লেবাননের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।” তিনি আরও বলেন, লেবাননের স্বাস্থ্য খাতও ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
লেবাননে তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের কারণে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হবার ঝুঁকি রয়েছে। এই সংকটগুলি সারা দেশে সবাইকে বিশেষ করে নারীদের বহুমুখী বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলছে।
রোচদি তরুণদের নিরাশ হয়ে লেবানন ছেড়ে যাবার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই ব্রেইন ড্রেন দেশকে তার অর্থনীতি ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি থেকে বঞ্চিত করবে।