অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারে প্রথম আঞ্চলিক বৈঠক


মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রক প্রদত্ত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়্যাং ই (মাঝে) মিয়ানমারের নিয়াউং উ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি ও চীনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ২ জুলাই ২০২২।
মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রক প্রদত্ত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়্যাং ই (মাঝে) মিয়ানমারের নিয়াউং উ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি ও চীনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ২ জুলাই ২০২২।

মিয়ানমারে গত বছর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দেশটির সামরিক সরকার সোমবার প্রথমবারের মত উচ্চ পর্যায়ের এক আঞ্চলিক বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকটিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়্যাং ই এবং মেকং বদ্বীপ অঞ্চলীয় অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক এমআরটিভি জানায় যে, ওয়্যাং মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। “শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য” মূলনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাগান শহরে ল্যাংকাং-মেকং কোঅপারেশন গ্রুপের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঐ শহরটি ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।

এই দলটি চীনের নেতৃত্বাধীন একটি উদ্যোগ, যার মধ্যে মেকং বদ্বীপ অঞ্চলীয় দেশগুলো রয়েছে। একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে পানিপ্রবাহের পরিবর্তন ও পরিবেশের ক্ষতি বিষয়ে উদ্বেগের ফলে ঐ এলাকাটি আঞ্চলিক উত্তেজনার একটি সম্ভাব্য উৎসে পরিণত হয়েছে। মেকং-এর উজানে চীন ১০টি বাধ নির্মাণ করেছে। উজানের ঐ এলাকাটি চীনে ল্যাংকাং নামে পরিচিত।

মেকং নদীর উজানে বাধ নির্মাণের ফলে চীন সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। বাধগুলো পানির স্তর এবং ভাটি অঞ্চলের মৎস্য সম্পদকে প্রভাবিত করে, যা কিনা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সামরিক সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ঝ মিন তুন গত শুক্রবার বলেন যে, বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীদের মাঝে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উপস্থিতি মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব ও দেশটির সরকারের প্রতি এক ধরণের স্বীকৃতি।

মিয়ানমারের অনেকেই সন্দেহ করেন যে, সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতি চীনের সমর্থন রয়েছে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতি নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। চীন বলে যে, অন্য দেশের বিষয়বস্তুতে হস্তক্ষেপ না করার এক নীতি অবলম্বন করে তারা।

XS
SM
MD
LG