অস্ট্রেলিয়ার বন্যা সঙ্কট অব্যাহত রয়েছে। সেখানে ৮৫,০০০ এরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে বা তারা সতর্কতার অধীনে রয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য জুড়ে বাসিন্দারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
সিডনির কাছাকাছি হাজার হাজার বাড়ি ব্যাপক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় এই বছর তৃতীয়বারের মতো বন্যা হয়েছে এবং বাসিন্দারা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে।
কিছু এলাকায় শনিবার থেকে ৭০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। সিডনির উত্তরে হান্টার ভ্যালিতে, ১৯৫২ সালের পর থেকে নদীগুলির পানি তাদের সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের জরুরি পরিষেবা বিষয়ক মন্ত্রী স্টেফ কুক বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি বিদ্যমান।
তিনি বলেন, “আমরা এখন এই সর্বসাম্প্রতিক জরুরি অবস্থার পুরোপুরি পঞ্চম দিনে রয়েছি এবং সিডনি জুড়ে অনেকগুলো সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি অবস্থা শেষ হয়নি এবং এছাড়াও এই রকম আবহাওয়া হান্টার, সেন্ট্রাল কোস্ট এবং মধ্য-উত্তর উপকূল অঞ্চলের মধ্য দিয়ে উত্তর দিকে চলে গেছে এবং অনেকেই বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন,”।
পরিবেশবাদী দলগুলো বলছে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা অস্ট্রেলিয়ার বন্যাকে আরও খারাপ করে তুলছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর ক্লাইমেট এক্সট্রিমসের পরিচালক অধ্যাপক অ্যান্ডি পিটম্যান অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেছেন যে উষ্ণ তাপমাত্রাকে এখনও বিশেষ কোন বিপর্যয়ের সাথে সংযুক্ত করা যায় না।
পিটম্যান বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও চরম ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে কিন্তু আমরা যে বিশেষ ঘটনাগুলি দেখেছি তা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা কঠিন," ।