বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ৫৮ টি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ছয় হাজারেরও বেশি রোগী সনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশিই ইউরোপে।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস বুধবার জেনেভা থেকে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন- এই মাসের শেষের দিকে এই মহামারীকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে কিনা তা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।
টেড্রোস আরও বলেন, ‘’বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটির মাত্রা এবং বিস্তার নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন," সেই সাথে বলেন, যথাযথ পরীক্ষার অভাবের কারণে, অনেক কেস সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
আফ্রিকার স্থানীয় সংক্রমণে এটি সাধারণত মৃদু রকম এবং ফ্লুর অনুরূপ। তবে তা ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমান প্রাদুর্ভাবটি শুরু হয়েছে মে মাসে। পূর্ববর্তী স্ট্রেনগুলির মৃত্যুর হার প্রায় ১% থাকলেও বর্তমান স্ট্রেনের ক্ষেত্রে কি হবে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণটি ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে দেখা গেছে, যাদের মধ্যে অনেকেই অন্যান্য পুরুষের সাথে নিয়মিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউরোপের ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক পরিচালক ডাঃ হান্স হেনরি পি. ক্লুজ এই কথা বলেন।
তিনি আরও যোগ করেন “এদের মধ্যে অল্প সংখ্যক কেস সনাক্ত হয়েছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে, যারা হেটেরোসেক্সুয়াল বা যৌন যোগাযোগহীন, এমনকি শিশুদের মধ্যেও।‘’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্স থেকে এখনো কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এই প্রতিবেদনে কিছু তথ্য রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস থেকে নেয়া হয়েছে।