অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে স্বল্প পরিসরে কূটনৈতিক উপস্থিতি পুনঃস্থাপন করলো ভারত


ভূমিকম্পের জন্য ত্রাণ নিয়ে ভারতের বিমানবাহিনীর একটি বিমান আফগানিস্তানের কাবুলে অবতরণ করছে, ২৩ জুন ২০২২।
ভূমিকম্পের জন্য ত্রাণ নিয়ে ভারতের বিমানবাহিনীর একটি বিমান আফগানিস্তানের কাবুলে অবতরণ করছে, ২৩ জুন ২০২২।

ভারত কাবুলে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালুর জন্য একটি কারিগরী দলকে আফগানিস্তানে পাঠানোর মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক উপস্থিতি পুনঃস্থাপন করেছে। বাহ্যিকভাবে এমন পদক্ষেপের পেছনে মানবিক কারণ থাকার কথা বলা হলেও, বিশ্লেষকরা এটিকে সহিংসতায় জর্জরিত দেশটিতে নয়াদিল্লীর কৌশলগত স্বার্থ নিশ্চিত করার এক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার ফলে সেখানে পাকিস্তান বেশ প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছে।

গত আগস্টে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর সেখানে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয় ভারত। ঘটনাটিকে ভারতের জন্য এক বিশাল কৌশলগত ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় যে, ঐ দলটি মানবিক সহায়তা সরবরাহ সমন্বয় করবে। তবে এমন পদক্ষেপের পেছনে অন্য কারণ থাকার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

আফগানিস্তানে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত, গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভারতের দূতাবাস পুনরায় চালু করার আসল কারণ হল সরেজমিনে আমাদের উপস্থিতি রাখা এবং তালিবানের সাথে একটি কার্যকরী সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা, যার মধ্যে এই নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির বিষয়টি রয়েছে যে আফগান ভূখণ্ডকে, বিশেষত ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যাতে ব্যবহার না করতে পারে।”

ভারত এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে যে, আফগানিস্তান পাকিস্তানের জঙ্গীদের জন্য এক নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হবে। এমন জঙ্গীরা ভারতীয় কাশ্মীরে তিন দশক ধরে চলমান সহিংস বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের মূল হোতা।

ভারত ও তালিবান দীর্ঘ সময় ধরেই একে অপরের কট্টর বিরোধী। কিন্তু উভয়পক্ষই নিজেদের অবস্থান সামান্য পরিবর্তন করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে যখন একদিকে নয়াদিল্লী এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছে যে অদূর ভবিষ্যতে কট্টরপন্থী এই ইসলামী দলটিই সেখানে ক্ষমতায় থাকবে, অপরদিকে আফগানিস্তানের নতুন নেতৃত্বও ভারতের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে।

XS
SM
MD
LG