শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা রবিবার বলে যে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কলম্বোতে তাদের সরকারি বাসভবনগুলো বিক্ষোভকারীরা দখল করে রাখবে।
শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঐ দুই বাসভবনে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকসের বাসভবনে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। এক মাস ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ক্রমবর্ধমান গণক্ষোভের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল।
তারপর থেকে রাজাপাকসে এবং প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সংসদের স্পিকারকে জানান যে, তিনি ১৩ জুলাই পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন, যাতে স্বচ্ছন্দে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা যায়।
তবে, বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন যে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ কার্যকর করতে হবে।
ব্যাপক বিক্ষোভের আগেই প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে সৈন্যরা এক নিরাপদ ও অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়। বিধ্বংসী এই অর্থনৈতিক মন্দার জন্য বহুলাংশে তাকেই দায়ী করা হয়। অনেক মাস ধরেই তিনি পদত্যাগের জন্য জনগণের চাপের মুখে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ করে একটি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব করার পর প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া নাটকীয় ফুটেজে দেখা যায় যে, শত শত মানুষ প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের প্রাসাদতুল্য বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন। তারা স্লোগান দিচ্ছেন, করিডোরগুলোতে ভিড় করে রয়েছেন এবং বিভিন্ন কক্ষে বসে আছেন। কিছু মানুষকে সুইমিং পুলে নামতেও দেখা যায়। উল্লসিত বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের দফতরেও প্রবেশ করেন। সে সময়ে তাদেরকে “আপনি ভেবেছিলেন আমাদের থামাতে পারবেন, কিন্তু আমরা এখানে চলে এসেছি” বলে চিৎকার করতে দেখা যায়।
র্যালিকে সামনে রেখে কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছিল এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করেছিল। কিন্তু নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বেপরোয়া বিক্ষোভকারীদের ভেতরে ঢুকে পড়া থামাতে ব্যর্থ হয় তারা।
সারাদিন ধরে চলা বিশৃঙ্খলতায় ডজনকয়েক মানুষ আহত হয়েছেন।