মালির সামরিক সরকার আইভরি কোস্ট থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী বামাকোর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ৫০ জন সৈন্যকে গ্রেপ্তার করেছে। জাতিসংঘ মিশনের একটি দলকে সহায়তা প্রদান করায় তাদের "ভাড়াটে সৈন্য" হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মালির সরকারী মুখপাত্র আব্দুলাই মাইগা সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় টিভি ওআরটিএম-এ একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেন, আফ্রিকায় ভাড়াটে সৈনিক বা মার্সেনারি নির্মূলের বিষয়ে আফ্রিকান ইউনিয়ন কনভেনশনের সংজ্ঞা মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের ‘ভাড়াটে’ হিসেবে বিবেচনা করছে।
মাইগা আরও বলেন, সৈন্যরা মালির জাতিসংঘ মিশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একটি কোম্পানি 'সাহেলিয়ান এভিয়েশন সার্ভিসেস'-এর হয়ে কাজ করছিল। তিনি বিবৃতিতে ঐ কোম্পানিকে "অবিলম্বে" মালি ছেড়ে চলে যেতে বলেন।
গত সোমবার সরকারপন্থী সোশ্যাল মিডিয়াতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা্র একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সামরিক সরকারের তরফ থেকে এ নিয়ে পরিস্কার কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি। শুধু ঐ সৈন্যদের "মালির পুনর্গঠন এবং নিরাপত্তার গতিশীলতা ভেঙে ফেলার" পরিকল্পনা করার জন্যই অভিযুক্ত করা হয়।
এই সময় মাইগা ১৯৭৭ সালে আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি কনভেনশনের কথা উল্লেখ করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উন্নয়নের জন্য মারাত্মক হুমকি’ ভাড়াটেদের কার্যক্রম আফ্রিকার মাটিতে নির্মূল করা।
সামরিক সরকারের বিরুদ্ধেও রাশিয়ান ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যদের সাথে কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা ক্রমাগত ভাড়াটেদের উপস্থিতি অস্বীকার করে দাবি করে যে তারা কেবল "রাশিয়ান প্রশিক্ষকদের" সাথে কাজ করে।