জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা(ইউএনএইচসিআর) গত বুধবার জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই আগামী কয়েক মাস তাদের আশ্রয়দানকারী দেশে থাকার পরিকল্পনা করছে।
অন্য প্রায় ১৬% শরনার্থী বলেছে যে, তারা ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। ৯% বলেছে যে তারা অন্য কোন আশ্রয়দাতা দেশে যাবে এবং বাকি ১০% এখনও নিশ্চিত নয়।
চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মলদোভা, পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং স্লোভাকিয়ায় যাওয়া শরণার্থীদের সাক্ষাত্কার এবং ফোকাস গ্রুপের উপর ভিত্তি করে করা ইউএনএইচসিআর এর প্রতিবেদনে এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
উত্তরদাতাদের প্রায় অর্ধেকই মার্চ মাসে ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন এবং ৮২ শতাংশ বলেছেন যে তাদের কমপক্ষে একজন সদস্যকে পরিবার থেকে আলাদা হতে হয়েছে।
আশ্রয়দাতা দেশে তাদের প্রধান জরুরি চাহিদা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, বেশিরভাগই নগদ টাকা ,কর্মসংস্থান এবং বাসস্থানের কথা উল্লেখ করেন।
ইউএনএইচসিআর এর হিসাব অনুযায়ী, জুনের শেষ দিকে ইউরোপে কমপক্ষে ৫৫ লক্ষ ইউক্রেনীয় শরণার্থী ছিল। ইউক্রেনের অভ্যন্তরে প্রায় ৭১ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শরণার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ আশ্রিত হিসেবে ভালো অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, তবে অন্য অনেকেই "কুসংস্কার এবং বিচ্ছিন্নতার অভিজ্ঞতার" কথা জানিয়েছেন।
তাছাড়া যে কোন ‘সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের উপর নির্ভর করা’ এবং সেই সাথে স্থানীয় ভাষা শেখা এবং পরিষেবা ও কাজের সুযোগ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য সহজে পাচ্ছেন না বলেও তারা হতাশা প্রকাশ করেন।