হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে, অপরাধী-চক্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে, এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৮৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটিতে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আর, জ্বালানি ঘাটতি পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ পরিস্থিতি বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সংকটের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোপলিটন এলাকার সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এবং ঘনবসতিপূর্ণ অংশ সিটি সোলেল-এ সারাদিন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের কানফাটা শব্দ শোনা গিয়েছে। দুটি অপরাধ চক্রের উপদলগুলো সেখানে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আর, জনবল ও সরঞ্জামের অভাবে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে, সেখানে বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবারের সদস্যদের ঘরে লুকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তারা খাবার ও পানীয় জলও পাচ্ছেনা।
কিছু বাসিন্দা, তাদের সাধারণ টিনের বাড়িতে এলোপাথাড়িভাবে ছোঁড়া বুলেটের আঘাতের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু, আহতদের সাহায্য করার জন্য এম্বুলেন্সগুলোকে ঐ সব এলাকায় যেতে দেয়া হয়নি।
মানবিক সহায়তা সংস্থাটির আহতদের সরিয়ে নেয়ার ততটা সামর্থ্য নেই। তবুও, তারা শুক্রবার থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫ জন আহত ব্যক্তিকে সিটি সোলেল-এর কাছে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে পেরেছে।
এই মারাত্মক সংঘর্ষগুলো রাজধানীজুড়ে সকল কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করেছে। কারণ,সিটি সোলেল-এ যে তেল টার্মিনালটি রয়েছে,তা পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং সমগ্র উত্তর হাইতিতে তেল সরবরাহ করে।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তৎপর এই অপরাধ চক্রগুলো সব আর্থ-সামাজিক শ্রেণির এবং সকল জাতীয় পরিচয়ের মানুষদের অপহরণ করছে। অথচ তারা রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
বুধবার সেন্টার ফর অ্যানালিসিস এন্ড রিসার্চ ইন হিউম্যান রাইটস প্রকাশিত সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, জুন মাসে কমপক্ষে ১৫৫টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।আর, অপহরণের সংখ্যা মে মাসে ছিল ১১৮টি।