অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পশ্চিম তীরে বাইডেনের সফর, এরপর সৌদি আরব


ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পশ্চিম তীরের বেথলেহেম শহরে অনার গার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ১৫ জুলাই, ২০২২।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পশ্চিম তীরের বেথলেহেম শহরে অনার গার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ১৫ জুলাই, ২০২২।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পূর্ব জেরুজালেমের হাসপাতালের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্যাকেজসহ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে আলোচনার জন্য অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের সাথে দেখা করেছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য পরিষেবায় সহায়তা করার লক্ষ্যে বহু বছরের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বাইডেন ওই অঞ্চলের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধকারী অন্যান্য পরিকল্পনা ঘোষণার মধ্যে রয়েছে গাজা এবং পশ্চিম তীরে ৪জি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের বিকাশ ঘটানো।

এরপর বাইডেন সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তার আগমনের কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার দিনের শেষের দিকে সৌদি আরব ঘোষণা করে যে, দেশটি “সমস্ত পরিবহন” এর জন্য তাদের আকাশসীমা উন্মুক্ত করছে। এর ফলে সৌদি থেকে ইসরাইলগামী এবং ইসরাইল থেকে সৌদিগামী সকল ফ্লাইটের ওপর দেশটির নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটে।

বৃহস্পতিবার বাইডেন ইসরাইলের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের বৈঠকের পর দুই নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাদের চুক্তি সম্পর্কে জানান। চুক্তি অনুসারে তারা ইরানকে পারমাণবিক শক্তিতে পরিণত হতে দেবেন না।

ইসরাইল ২০১৫ সালে ইরান এবং বিশ্বশক্তির একটি গোষ্ঠীর মধ্যে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক চুক্তির একটি বড় সমালোচক ছিল।ওই চুক্তির অধীনে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমিত করার কথাহয়েছিল। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

ভিয়েনায় পরোক্ষ আলোচনাসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান উভয়কেই চুক্তিতে ফিরিয়ে আনার জন্য সম্প্রতি প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।

XS
SM
MD
LG