অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বলপূর্বক প্রত্যাবাসনের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্ক


 উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা ২০২২ সালের ১৩ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার সৌলে ন্যশনাল অ্যাসেম্বলির সামনে সমাবেশ করছে। ২০১৯ সালে, উত্তর কোরিয়ার ২ জন জেলেকে, দক্ষিণ কোরিয়া বের করে দেয়। এ ঘটনার নিন্দা জানাতেই এই সমাবেশ।
উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা ২০২২ সালের ১৩ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার সৌলে ন্যশনাল অ্যাসেম্বলির সামনে সমাবেশ করছে। ২০১৯ সালে, উত্তর কোরিয়ার ২ জন জেলেকে, দক্ষিণ কোরিয়া বের করে দেয়। এ ঘটনার নিন্দা জানাতেই এই সমাবেশ।

হত্যার জন্য সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার দুইজন জেলেকে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনে বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি, দক্ষিণ কোরিয়া নিয়েছিল ২০১৯ সালে। সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে,যাতে দেখা যায় যে, ঐ জেলেদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সীমান্তের ওপারে পাঠানো হচ্ছে। এই ছবি প্রকাশের পর বিষয়টির ওপর নতুন করে মনযোগে আকৃষ্ট হয়।

জেলেদের পরিণতি সম্পর্কে উত্তর কোরিয়া কিছুই প্রকাশ করেনি। তবে, অনেক সক্রিয়বাদী বলছেন, কর্তৃত্ববাদী ঐ দেশটিতে জেলেদের পক্ষে ন্যায় বিচার পাওয়া অসম্ভব যেখানে নির্যাতন ও অন্যান্য অত্যাচারের ঘটনা একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।

নির্যাতন বিরোধী জাতিসংঘ সনদের আওতায়, কোন ব্যক্তিকে এমন স্থানে জোর করে পাঠানো যাবে না, যেখানে সে নির্যাতনের শিকার হতে পারে। ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ঐ জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেছে। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায়ও (ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অফ হিউম্যান রাইটস) স্বাক্ষর করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই ষোষণাও ন্যায্য বিচারের স্বীকৃতি দিয়েছে।

তাত্ত্বিকভাবে, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান উত্তর কোরীয়দের তাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে এবং সওল সাধারণত উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের পরিচয়কে তদন্ত সাপেক্ষ রেখেই তাদেরকে গ্রহণ করে।

তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার আইন দেশটির বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে নানান কারণে, যেমন জাতীয় নিরাপত্তা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, এমন অজুহাতে উত্তর কোরিয়া থেকে আগতদের প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।

একটি জটিল এবং অনিশ্চিত আইনি ব্যবস্থাকে মোকাবিলা করার বদলে, মুন প্রশাসন জেলেদেরকে উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়। তাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিপুল ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

মুনের অনেক সমালোচক অভিযোগ করেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়াকে শান্ত করার ইচ্ছা দ্বারা চালিত হয়েছিলেন। ঐ সময় আন্ত-কোরীয় শান্তি আলোচনা একটা নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল। বামঘেঁসা মুন তখন উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনাটিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস মুনের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটরদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে যে, জেলেদের তদন্ত খুব দ্রুত সমাপ্ত হয়েছিল।

XS
SM
MD
LG