অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জ্বালানী তেলের সংকটে ক্যামেরুনের গাড়ি চালকদের বিক্ষোভ


ফাইল: ২০২০সালের ৬ই মার্চ, ইয়াওনডের ইয়াওনডে জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশ গেইটের বাইরে যানবাহনের ভিড়।
ফাইল: ২০২০সালের ৬ই মার্চ, ইয়াওনডের ইয়াওনডে জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশ গেইটের বাইরে যানবাহনের ভিড়।

ক্যামেরুনের কর্তৃপক্ষ বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে জ্বালানি তেলের নতুন করে ঘাটতির কারণে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্যামেরুনের সরকার বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি করায় তারা জ্বালানি তেলের উপরে ভর্তুকিতে প্রায় ৫০কোটি ডলার ব্যয় করতে বাধ্য হয়েছে।

ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াওনডে-র ইতুডি এলাকায় শুক্রবার ১০০ জনেরও বেশি চালক একটি গ্যাস স্টেশনে জড়ো হয়ে নতুন করে জ্বালানী তেলের ঘাটতির প্রতিবাদে হর্ন বাজাতে থাকে।

ড্রাইভাররা বলছেন যে এই মাসে ইয়াওনডের জ্বালানীর অভাব হওয়ার পর থেকে তাদের আয় মারাত্মক ভাবে কমে গিয়েছে এবং অন্যান্য শহরেও তেলের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করেছে।

ইকুয়েটোরিয়াল গিনি এবং গ্যাবনের সীমান্তে ইবোলোয়া শহরে হাইজিন অ্যান্ড স্যানিটেশন অফ ক্যামেরুন নামের একটি সংস্থা অবস্থিত যেখানে বর্জ্য ফেলা হয়। ঐ সংস্থার মালিক ইভি অনোরে মিনকা বলেন,এবোলোওয়া শহর এবং এর আশেপাশের এলাকার অবস্থা শোচনীয় কারণ তার কোম্পানির বর্জ্য এবং বর্জ্য সংগ্রহের যানবাহনগুলি জ্বালানী তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। মিঙ্কা বলেছেন যে ডিজেল পাওয়ার পরেই তার সংস্থা আবার বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করতে পারবে।

ক্যামেরুনের সরকার জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের ঘাটতির কারণে কয়েক হাজার সরকারি বাস, ট্যাক্সি ও ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে না। এপ্রিল মাসের পর দেশটিতে এই দ্বিতীয় বার জ্বালানী সংকট দেখা দিয়েছে।

ক্যামেরুনের জ্বালানী মন্ত্রী সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবারও এই পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে দায়ী করেছেন।

রাশিয়ার আক্রমণের জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলি তাদের বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং তেল ও গ্যাসের দর উচ্চতর হওয়ায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।

ক্যামেরুন তার অর্ধেকেরও বেশি গ্যাসোলিন রাশিয়া থেকে কিনে থাকে। পেট্রোলিয়াম পণ্য, গম এবং সারের ক্ষেত্রে রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম প্রধানসরবরাহকারী রাষ্ট্র।

XS
SM
MD
LG