সিলেট নগরের ভেতরে রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সড়ক। এর মধ্যে একটি আম্বরখানা থেকে শুরু হওয়া সুনামগঞ্জ রোড। অপরটি কুমারপাড়া হয়ে সুবহানীঘাট সড়ক। দুটি সড়ই জলমগ্ন ছিল বন্যার সময়। এই সড়কে তখন যানবাহনও চলেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুটি।
ইতোমধ্যেই, সড়ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিটি মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলী। দুটি সড়কে আপাতত ইট-সুরকি ফেলে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বর্ষার মৌসুমের পর, স্থায়ীভাবে সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে ছিল। ঐ সময় সড়ক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি নেমে যাওয়ার পর ধ্বংসচিত্র ভেসে উঠে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, “টাকার অঙ্কে সিলেট নগরের সড়কে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
নগরের উপ-শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে একশ’র বেশি রাস্তা। এছাড়া, সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার সব সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিআইপি সড়ক তালতলা থেকে শেখঘাট পয়েন্ট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী জানান, “প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে কিছু কিছু স্থানে মেরামত করা হচ্ছে। তবে, এখনই সব সড়ক মেরামত করা করা সম্ভব হচ্ছে না। সওজ’র যে সড়কগুলো রয়েছে সেগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।”
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম জানিয়েছেন, “আমার ওয়ার্ডে ১০৮টি সড়ক রয়েছে। সবক’টি সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই দফা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপ-শহরের সড়ক। মানুষের কষ্ট লাঘবে দ্রুততম সময়ে ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামতের আহবান জানাচ্ছি।”