অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাইতির অপরাধীচক্রগুলির কাছে বন্দুক সরবরাহ বন্ধ করতে জাতিসংঘের আর্জি, নিষেধাজ্ঞা চায় চীন


ফানমি লাভাইয়াস রাজনৈতিক দল ২০২২ সালের ১৫ জুলাই হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে তাদের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট জঁ-বারট্রান্ড আরেস্তিদের জন্মদিন পালন করছে। আরিস্তিদেকে দুই বার ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়েছে। ২০০৪ সালে এক সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হয়।
ফানমি লাভাইয়াস রাজনৈতিক দল ২০২২ সালের ১৫ জুলাই হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে তাদের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট জঁ-বারট্রান্ড আরেস্তিদের জন্মদিন পালন করছে। আরিস্তিদেকে দুই বার ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়েছে। ২০০৪ সালে এক সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হয়।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে হাইতির অপরাধী চক্রগুলি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপের হুমকি দিয়েছে। সংস্থাটি একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে এই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ক্যারিবীয় দেশটিতে অস্ত্র পাঠানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

গত বছর প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েস আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে সহিংসতা বেড়েছে। বিভিন্ন অপরাধী সংগঠন এই রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

এই প্রস্তাবের পক্ষে চীনও ভোট দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হাইতিতে জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশনের মেয়াদ ১২ মাসের জন্য বাড়ানোর । তবে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদ, হাইতির অপরাধী চক্রগুলির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করায় হতাশা প্রকাশ করা হয়।

এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে চীন অনেক বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সাধারণত দেশটি নিরাপত্তা পরিষদের কোনও রেজোলুশন নিয়ে এত সক্রিয় থাকে না।

হাইতি দীর্ঘদিন আগে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা চীনের জন্য বিরক্তির কারণ। কিছু বিশ্লেষকের মতে, বেইজিং হাইতির আসন্ন রাজনৈতিক পালাবদলের সুযোগ নিয়ে দেশটিকে তাইওয়ানের পরিবর্তে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছে।

তবে জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জানান, চীনের একমাত্র স্বার্থ হচ্ছে হাইতির মানুষ ও সরকারকে সাহায্য করা।

ঝ্যাং সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমার মনে হয় এই দুটি বিষয়কে মিলিয়ে দেখা যুক্তিসঙ্গত নয় । এটি সত্য, যে তাদের তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, যার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। তবে, এই বিষয়টির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে তাদের এই অবস্থানকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’

জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশন হাইতিতে সরকারের সঙ্গে কাজ করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা ও ন্যায়বিচার পুন:প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরি করবে।

২০০৪ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জঁ-বারট্রান্ড আরিস্তিদেকে উৎখাত করার পর হাইতিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। ২০১৭ সালে শান্তিরক্ষাবাহিনী চলে যায় এবং তাদের জায়গায় জাতিসংঘ পুলিশ দায়িত্ব নেয়। পরে তারাও ২০১৯ সালে চলে যায়।

XS
SM
MD
LG