দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ত্রিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বের বিষয়টি সোমবার পুনর্নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ও অন্যান্য বৈশ্বিক উত্তেজনার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সংস্কারে নতুন করে প্রচেষ্টা আরম্ভ করেছে এই দুই দেশ।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকির বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করতে একমত হন। এছাড়াও, ঔপনিবেশিক আমলে কোরিয়ার শ্রমিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও কাজ করানো নিয়ে জাপানের সাথে দ্বন্দ্ব মিটমাট করতে একমত হন। দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।
মূলত ঐতিহাসিক বিষয়গুলোই এই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান টানটান সম্পর্কের কারণ। এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর আগে থেকে তার অবসান পর্যন্ত জোরপূর্বক শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর বিষয়টিও রয়েছে।
তবে, দ্বন্দ্বটির কেন্দ্রে রয়েছে ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালতের দেওয়া একটি রায়। ঐ রায়ে জাপানের নিপ্পন স্টিল ও মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানী দুইটিকে কোরিয়ার শ্রমিকদের দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করানোর দায়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ করা হয়। ঐ দুই কোম্পানী এই রায় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জবাবে সাবেক সেসব শ্রমিক ও তাদের সমর্থকরা নিপ্পন স্টিল ও মিৎসুবিশি কোম্পানীর সম্পদ জোরপূর্বক বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ দেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলে, দুই মন্ত্রী এই বিষয়ে একমত যে, জোরপূর্বক শ্রমকে ঘিরে হওয়া এই দ্বন্দ্ব যথাশীঘ্র সমাধান করা প্রয়োজন। বিবৃতিতে পার্ক-কে উদ্ধৃত করে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানী এই দুই কোম্পানীর সম্পদ বিক্রির ব্যবস্থা করার আগেই এই দ্বন্দ্বের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবে দক্ষিণ কোরিয়া।