বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বৈশ্বিক মুল্যস্ফীতি পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট সবাই যদি মিতব্যয়ী হতে পারে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে দেশ লাভবান হবে।”
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার প্রধান বলেছেন, মিতব্যয়ী হতে হবে। আসুন সবাই মিতব্যয়ী হই। তিনি গোটা আমলাতন্ত্রসহ সরকার এবং সরকারের বাইরে যারা সাধারণ নাগরিক আছেন সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।”
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “যে পণ্যগুলো আমরা নিজেরা উৎপাদন করি না, সেগুলোর অভিঘাত মোকাবেলায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মূলত এ কারণে দেশবাসীকে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।”
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সবাইকে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি নাগরিক পরিষেবা খাতগুলোর অপব্যবহার বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।”
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চাল ও ভোজ্য তেলের মতো কিছু জিনিসের দাম নিম্নমুখী, এতে বোঝা যাচ্ছে, আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি কমবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার পূর্ববর্তী ২০২১-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৩১ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা বেশি। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যার ব্যয় ছিল দুই লাখ তিন হাজার ৭৬৪ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা। পূর্ববর্তী ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৮২ দশমিক ১১ শতাংশ, যার ব্যয় ছিল এক লাখ ৭১ হাজার ৮৩৫ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা।
