জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, অ্যাঙ্গোলা থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক কঙ্গোর শরণার্থীদের জন্য স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচি কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২ বছরের বিরতির পরে আবার শুরু হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, কঙ্গোর ৮৮ জন শরণার্থীর একটি প্রথম যানবহর উত্তর অ্যাঙ্গোলা ছেড়েছে এবং বুধবার তাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো(ডিআরসি)’তে পৌঁছানোর কথা। সংস্থাটি বলেছে, তারা সীমান্ত পেরিয়ে ডিআরসিতে যাওয়ার আগে রাতের জন্য একটি ট্রানজিট কেন্দ্রে থাকবে।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বরিস চেশিরকভ বলেছেন, এখন পর্যন্ত কঙ্গোর ৬শ জনেরও বেশি শরণার্থী ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারাও স্বদেশে যেতে চায়। তিনি বলেন, আরও যানবহর আগামী সপ্তাহে চিসান্দা সীমান্ত সংযোগস্থল দিয়ে যাতায়াত করবে।
তিনি বলেন, সেখান থেকে শরণার্থীরা পশ্চিম ডিআরসির বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে যার মধ্যে কাসাই, কাসাই সেন্ট্রাল এবং রাজধানী কিনশাসা রয়েছে।
অন্যদিকে পূর্ব ডিআরসিতে পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থির। জাতিসংঘ বলছে, দেশটির অভ্যন্তরে সংঘাত ও সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৫৬ লাখ মানুষের অধিকাংশই উত্তর ও দক্ষিণ কিভু, ইতুরি এবং টাঙানিকার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে বসবাস করে।
চেশিরকভ বলেছেন, প্রত্যাবর্তনকারীরা ডিআরসিতে তাদের আগমনের পরে একটি পুনরায় সংহতকরণ প্যাকেজ পায়। তিনি বলেন, এর মধ্যে তাদের ভাড়া পরিশোধ করতে এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং গৃহস্থালির জিনিসপত্রের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে নগদ সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।