অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জেলে ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় নিজস্ব রূপে ফিরেছে সুন্দরবন


সুন্দরবন
সুন্দরবন
জুন, জুলাই ও আগস্ট, এই তিন মাস সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে বনের নদী-খালে মাছ শিকারে এখন বাংলাদেশের বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এছাড়া নির্দিষ্ট এ সময়ে বনের অভ্যন্তরে ও অভয়ারণ্যে পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে, যেন নিজস্ব রূপে ফিরেছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “বিশ্বখ্যাত সুন্দরবন দেখার আগ্রহ রয়েছে দেশ-বিদেশের সব বয়সী মানুষের। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবনে ছুটে আসেন শত শত মানুষ। কিন্তু চলমান নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই ভ্রমণের সুযোগ নেই।”

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির আরও বলেন, “সুনসান নীরবতায় বনের প্রকৃতিতে ভিন্ন রূপের সৃষ্টি হয়েছে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বনজুড়ে নীরবতা বিরাজ করছে। গাছপালা যেন হাত বাড়িয়ে ডাকছে। পাখির কলকাকলিতে মুখর সুন্দরবন। বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণীর দেখা মিলছে।”

নানা প্রজাতির গাছপালা, পশুপাখি ও প্রাণীর বিচরণস্থল সুন্দরবনে রয়েছে বেশকিছু পর্যটন স্পট। সারা বছর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দর্শনার্থীরা শুধু হরিণ, বানর, কচ্ছপ ও কুমিরের দেখা পান। বাকি প্রাণী মানুষের কোলাহল ও নৌযানের শব্দে, বনের গহীনে বিচরণ করে।দেড় মাস ধরে মানুষের পদচারণা ও নৌযানের শব্দ না থাকায়, প্রাণীর দল চলে আসছে নদী ও খালের পাড়সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিনের নীরবতার কারণে, আগে যে সব প্রাণী সবসময় দেখা যেতো না, সেগুলোর দেখা মিলছে এখন। পুরো সুন্দরবনে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ভ্রমণ করে থাকেন। তাদের পরিবহনে ব্যবহার হয় প্রায় ২৫ হাজার নৌযান। গত ১ জুন থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই মানুষ ও নৌযান চলাচল না থাকায়, বনের পরিবেশ পাল্টে গেছে।”

XS
SM
MD
LG