বুধবার জাতিসংঘের একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে নারী অধিকারের অবক্ষয় গত আগস্টে তালিবান দেশ দখলের পর অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন বা ইউএনএএমএ কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বলেছে, দেশটি হঠাৎ তালিবান শাসনে পরিণত হওয়ার পর থেকে সেখানে “এখন পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে স্পষ্ট দায়মুক্তির বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
তালিবান উল্লেখযোগ্যভাবে কর্ম এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার খর্ব করেছে এবং আফগান সংস্কৃতি এবং শরীয়াহ বা ইসলামী আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তাদের নীতি রক্ষা করে বেশিরভাগ কিশোরী মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করতে বাধা দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় বাদে পাবলিক সেক্টরে কর্মরত নারীদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে মূলত তালিবান গোয়েন্দাদেরকে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসলামি আইনের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ নিশ্চিতকারী ধর্ম প্রচার ও পাপাচারের প্রতিরোধ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা বিশেষ করে নারীদের মানবাধিকার সীমিত করে।
তালিবান তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমসহ অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ক্রমাগতভাবে অস্বীকার করেছে।
ইউএনএএমএ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানে সশস্ত্র সংঘাত উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং তালিবান দখলের পর থেকে বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। তবে তারা উদ্বেগের সাথে উল্লেখ করেছে যে, ইসলামিক স্টেট সম্পর্কিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্রমাগত আক্রমণে আগস্ট থেকে ৭শ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং ১ হাজার ৪ শ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।