অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন বিক্রমাসিংহে, বিক্ষোভকারীরা হতাশ


ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সমর্থকেরা তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে উদযাপন করছেন। ২০ জুলাই, ২০২২।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সমর্থকেরা তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে উদযাপন করছেন। ২০ জুলাই, ২০২২।

একটি জনপ্রিয় অভ্যুত্থানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে শ্রীলঙ্কায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দেশের নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে দেশের শীর্ষ পদে তার উত্থান সে দেশে আরও ক্ষোভের সঞ্চার করতে পারে যেখানে তিনি গণবিক্ষোভের লক্ষ্যবস্তুও হয়েছেন এবং তাকে জনগণ যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবি করেছিল তার প্রতিনিধি হিসেবে তাকে দেখা হয় না।

বিক্রমাসিংহেকে মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল কিন্তু গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগ করার পর তিনি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তাকে রাজাপাকসেদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দেখা হয় এবং তার বিজয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন পোডুজানা পেরামনুয়া দলের অনেক আইনপ্রণেতার সমর্থনকে দায়ী করা হয়। দলটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং দলটিতে রাজাপাকসে পরিবারের আধিপত্য রয়েছে।

নতুন প্রেসিডেন্ট বিপুল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। জ্বালানি ঘাটতি এবং চলমান মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শ্রীলঙ্কা জনগণের দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তুলেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্যের অভাবে রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখা থেকে বিরত করতে পারবে না। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী দামিথ কেথাকা বলেছেন, “স্পষ্টতই বিক্রমাসিংহের নির্বাচন জনগণের ইচ্ছার লঙ্ঘন। আমরা একটি পরিষ্কার চিত্র দিয়েছি যে, আমরা কেবল একটি সরকারের পরিবর্তন চাইনি, বরং একটি ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই এবং এটি ঘটেনি।” তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি আন্দোলন এখন গতি পাবে।”

সামনের দিনগুলো কঠিন হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

XS
SM
MD
LG