হেনান প্রদেশের ঝেংঝুতে গত সপ্তাহে কয়েকশো ব্যাংক আমানতকারী সরকারি দপ্তরের বাইরে বিরল এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এরপর, জনসাধারণের আরও অসন্তোষকে দমনের জন্য চীনা কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান, চায়না ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি কমিশন (সিবিআইআরসি) বলেছে, তারা গ্রামীণ পর্যায়ের পাঁচটি ব্যাংকের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো সামলে নেবে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৪টি হেনানে এবং ১টি আনহুই-তে অবস্থিত।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর খবর অনুযায়ী, ঝুঁকিতে থাকা আমানতের পরিমাণ ৪০০০ কোটি ইউয়ান (৬শ কোটি ডলার)।
অনেক আমানতকারী গত এপ্রিল মাস থেকে ব্যাংক থেকে তাদের সঞ্চয় তুলে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তা পারেনি। ঐ সময়, প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছিল যে, প্রাথমিকভাবে কম্পিউটার সিস্টেম উন্নীত করার বিষয় নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো এপ্রিল থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বলে আমানতকারীরা জানিয়েছেন। মে মাস থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ।
টাকা তোলার অনুরোধ পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ ছাড়াই কীভাবে ব্যাংকগুলো কাজ করছিল,তা তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর জিরো-কোভিড নীতির জন্য বেইজিং যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হিমসিম খাচ্ছে; ঠিক তখনই গ্রামীণ পর্যায়ের ব্যাংকগুলোর কেলেঙ্কারি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসে। শি জিন পিং-এর জিরো-কোভিড নীতির কারণে ব্যাপক লকডাউন আরোপ করা হয়। এর ফলে চীনের অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে পড়ে।
চীনা ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান, হেনান নিউ ফরচুন গ্রুপকে, গ্রামীণ পর্যায়ের ব্যাংকে অনলাইন লেনদেন সিস্টেমগুলো নিজেদের লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে বলে দায়ী করেছে। চায়না ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স নিউজের একটি উইচ্যাট পোস্টকে ভিত্তি করে, সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত সংবাদ প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
বিশ্লেষকরা, ভয়েস অফ আমেরিকা ম্যান্ডারিন বিভাগকে বলেছেন, জমা করা তহবিল কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, তার ওপর টাকা পরিশোধের বিষয়টি নির্ভর করতে পারে।
|
|