ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের পাঁচমাস সম্পন্ন হতে চলেছে এবং প্রায় প্রতিদিনই বেসামরিক স্থাপনায় রুশ হামলার খবর পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক অভিহিত করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের উপর চাপ বেড়েই চলেছে।
পলিটিকোর খবর অনুযায়ী, এই সপ্তাহে হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে বলেন যে, তিনি যদি কংগ্রেস কর্তৃক তাকে দেওয়া ক্ষমতাটি ব্যবহার না করেন তাহলে, আইনপ্রণেতারা নিজেরাই তা ব্যবহার করে রাশিয়াকে এমন আখ্যায়ন দিবেন।
রাশিয়া ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য আরও অনেক দেশের আরোপিত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সরকারিভাবে অভিহিত করা হলে তাতে চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোর আন্তর্জাতিক অংশগুলো সতর্কতার সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। অপরদিকে, সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অভিহিত করা হলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও কঠোর শাস্তির পরিধি বৃদ্ধি পাবে। সেগুলো তৃতীয় কোন দেশের পক্ষগুলোর উপরও কার্যকর হতে পারে, যারা কিনা রুশ ব্যক্তিবর্গ ও কোম্পানীদের সাথে ব্যবসা করছে।
এছাড়াও, এমনভাবে অভিহিত করা হলে, যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার সার্বভৌম সুরক্ষাটি আর থাকবে না। এর ফলে ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকানদের জন্য রাশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়েরের পথ খুলে যাবে।
এমন পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশকারী জ্যেষ্ঠতম আইনপ্রণেতা পেলোসি। তবে তিনিই প্রথম এমন আইনপ্রণেতা নন। এই মাসে এর আগে রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর লিন্ডসে গ্রেহাম এবং ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল তাদের উত্থাপিত প্রস্তাবের বিষয়টি তুলে ধরতে কিয়েভ সফর করেন। মে মাসে তাদের উত্থাপিত ঐ প্রস্তাবটি রাশিয়ার এমন আখ্যায়নকে আনুষ্ঠানিক করে তুলত।
একই উদ্দেশ্যে অপর আরেকটি প্রস্তাব রিপাবলিকান দলীয় জো উইলসন ও ডেমোক্রেট দলীয় টেড লিউ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এ উত্থাপন করেছিলেন।
তবে, মনে হয়েছে যে, বাইডেন প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক। ইতোপূর্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন যে, প্রশাসনের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বর্তমানে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোই যথেষ্ট।