অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে জাতীয় কমিটি


বাংলাদেশের অন্যতম নাগরিক সংগঠন, ‘তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ খাত ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি (জাতীয় কমিটি)’ বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য নয়টি সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করেছে।

রবিবার (২৪ জুলাই) কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “বিদেশি কোম্পানির স্বার্থে সরকারের অনুসৃত ভুল নীতি ও দুর্নীতি, বিদ্যুৎ খাতকে বর্তমান সংকটের মুখে ফেলেছে।”

সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করে জাতীয় কমিটি বলেছে,“দেশি-বিদেশি কোম্পানি ও তাদের কমিশন এজেন্টদের একটি অংশ এই ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে লাভবান হয়েছে।”

সংকটের জন্য কমিটি যে নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে রয়েছে; তেল-কয়লা ও এলএনজি আমদানি-নির্ভর নীতির ভিত্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্নয়ন, ভাড়া, কুইক রেন্টাল এবং অন্যান্য ধরনের পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ৫৪ হাজার কোটি টাকা দেয়া,ক্যাপাসিটি চার্জ, ভাড়া, কুইক রেন্টাল ও অন্যান্য তেল-ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট কাজ না করে ফেলে রাখা এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিচালনার জন্য এলএনজি-আমদানি নির্ভরতা বৃদ্ধি।

জাতীয় কমিটি চিহ্নিত অন্য কারণগুলো হল; নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্পগুলো এড়িয়ে যাওয়া এবং উপেক্ষা করা, স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগের অভাব, প্রতিবেশি মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর অফশোর গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ রাখা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ না দেয়া, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশ সুরক্ষা উপেক্ষা করা এবং দেশীয় মালিকানা নিশ্চিত করে হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানে ঠিকাদার নিয়োগে উদ্যোগের অভাব।

XS
SM
MD
LG