ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বছর মে মাসের ২য় সপ্তাহে বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অবিরামভাবে কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া, ভারতের মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা-তে কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হয়। উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকদিনের অবিরাম ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে, ১৩ মে থেকে পূর্বাঞ্চলের সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশপাশের জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পর্যায়ক্রমে এই বন্যা দেশের ১৮টি জেলায় বিস্তৃত হয়।”
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে, সাম্প্রতিক বন্যা, ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে, সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এ কথা বলেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বন্যায সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের আনুমানিক আর্থিক মূল্য এক হাজার ২৫৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ১১২ টাকা। আর,আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের আনুমানিক আর্থিক মূল্য ৫৫ হাজার ৯৫৭ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ৫০৮ টাকা। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির অর্থমূল্য ৩৬৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ০৪৩ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির মূল্য এক হাজার ৩৫৫ কোটি তিন লাখ ১০ হাজার ৫৫৫ টাকা।”প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত, সাত হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল, ৯ কোটি ৪৪ লাখ নগদ টাকা, এক লাখ ৪০ হাজার ১৩২ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার , শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ টাকা, গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ, গৃহনির্মাণ বাবদ দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা, এবং আট হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউ টিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।”