রাশিয়া সোমবার বলেছে যে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে চালানো তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাগুলো, শস্য রফতানি পুনরায় চালু করা সংক্রান্ত চুক্তি প্রভাবিত করার কথা নয়।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকফ বলেন যে, ঐ হামলাগুলোতে শুধুমাত্র সামরিক অবকাঠামোতেই আঘাত করা হয় এবং সেগুলো “শস্য রফতানিতে ব্যবহৃত অবকাঠামোর সাথে কোনভাবেই সম্পর্কিত নয়”।
শনিবারের হামলায় কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতার কথা শুরুতে রাশিয়া অস্বীকার করলেও, রবিবার বলে যে তাদের বাহিনীই এই হামলা চালায়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে শুক্রবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী শস্য রফতানি পুনরায় চালু করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
চুক্তিটি সম্পাদনে জাতিসংঘ ও তুরস্ক মধ্যস্থতা করে। চুক্তি অনুযায়ী, কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার অবরোধ করে রাখা এলাকাগুলো দিয়ে নিরাপদে যেতে দেওয়ার কথা রয়েছে রুশ নৌবহরের। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেন আক্রমণ আরম্ভ করার পর থেকে ঐ এলাকাগুলো অবরোধ করে রেখেছে রুশ নৌবাহিনী।
বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল ঐ চুক্তিকে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস সেটিকে “আশা, সম্ভাবনা ও ত্রাণের বাতিঘর” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
শনিবারের হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলেন যে, রাশিয়া ঐ শস্য রফতানি চুক্তিটি ভেস্তে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, আক্রমণটি “[শুক্রবারের] চুক্তি বিষয়ে রাশিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং বিশ্ববাজারে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্য পৌঁছাতে জাতিসংঘ, তুরস্ক, এবং ইউক্রেনের কাজের অবমূল্যায়ন করে।”