অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে ইথিওপিয়া যাচ্ছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োরেই মুসেভেনির সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। ২৬ জুলাই, ২০২২।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োরেই মুসেভেনির সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। ২৬ জুলাই, ২০২২।

মঙ্গলবার ইথিওপিয়ায় যাচ্ছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা মোকাবেলার লক্ষ্যে আফ্রিকার চার দেশের সফরে এটাই হবে তার শেষ গন্তব্য। পশ্চিমা দেশগুলি ইথিওপিয়াসহ রেকর্ড পরিমাণ খরা-পীড়িত পূর্ব আফ্রিকায় খাদ্য ঘাটতিকে আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবার জন্য রাশিয়ার আক্রমণকে দায়ী করে। টিগ্রায়তে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়া এবং রাশিয়ার সাথেও তাদের একটা ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব রয়েছে।

সের্গেই ল্যাভরভ আদ্দিস আবাবায় ইথিওপিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করে তার আফ্রিকা সফর শেষ করবেন। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধের মাধ্যমে তার দেশ ক্ষুধা রপ্তানি করছে, এমন অভিযোগ তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ইথিওপিয়ার সরকারের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করবেন। টিগ্রায় সংঘর্ষের বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে, পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইথিওপিয়ার সম্পর্ক বর্তমানে খুব খারাপ পর্যায়ে রয়েছে।

ইথিওপিয়ায় রাশিয়ার উপস্থিতি অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই সামান্য । দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় কোনো সাহায্যদাতার পদচিহ্ন নেই, এছাড়া চীনের মতো দেশও সেখানে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করছে না।

তবে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী কূটনৈতিক অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে টিগ্রায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইথিওপিয়াকে জোর সমর্থন করে আসছে।

একজন স্বাধীন গবেষক মোজেস জেউডু তেশোম বলেছেন, রাশিয়া-ইথিওপিয়া সম্পর্কের শিকড় গভীর এবং ঐতিহাসিক ।

তিনি বলেন, "আপনি যদি অতীতের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন, শীতল যুদ্ধের সেই উত্তাল সময়কালেও ইথিওপিয়ার সরকার সবসময়ই সোভিয়েত ইউনিয়নের পাশে ছিল এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল।"

ইথিওপিয়ার কর্মকর্তারা সম্ভবত ল্যাভরভের কাছ থেকে আশ্বাস চাইবেন, যেন কৃষ্ণ সাগর দিয়ে গম রপ্তানি আবারও শুরু হয়। স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার প্রয়াসে ইথিওপিয়া তার গম উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু আপাতত, দেশটি ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে তার শস্যের ৪০% আমদানি করে এবং প্রায় ৩ কোটি ইথিওপিয়ান বর্তমানে বিশ্বব্যাপী শস্য বাজার থেকে প্রাপ্ত খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে।

গত মার্চে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ইথিওপিয়া।

XS
SM
MD
LG